৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা : ট্রলার এর সাথে মারুতি ভ‍্যানের সংঘর্ষ

28th December 2020 9:47 am বাঁকুড়া
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা : ট্রলার এর সাথে মারুতি ভ‍্যানের সংঘর্ষ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   মারুতি ভ্যান ও ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে  মৃত্যু হলো চার জনের। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকার ভগবানপুরে ৬০ এ জাতীয় সড়কে। মৃতরা সম্ভবতঃ প্রত্যেকেই বাঁকুড়া সদর থানা এলাকার বেলিয়া গ্রামে বাসিন্দা ও তারা পুরুলিয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল বলে জানা গেছে।   স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি মারুতি ভ্যানে চেপে পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ার দিকে আসছিলেন বেলিয়া গ্রামের শিশু ও মহিলা মিলে মোট ন'জন। সেই সময় ছাতনা থানা এলাকার ভগবানপুরের কাছে ৬০ এ জাতীয় সড়কের উপর উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সাথে ঐ মারুতি ভ্যানটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে, মারুতি ভ্যানটি রাস্তার পাশের খালে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। কম বেশী আহত হয়েছেন আরো পাঁচ জন। মৃত ও আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এই দূর্ঘটনার পিছনে বেপোরোয়া গতিই দায়ি বলে ঐ এলাকার মানুষ মনে করছেন।   খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ছাতনা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। 'ঘাতক' ট্রলারটিকে পুলিশ আটক করতে পারলেও চালক-খালাসি পলাতক। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।